কোরআনের পরিচয় ও প্রমাণ
অবশ্যই! নিচে “কোরআনের পরিচয় ও প্রমাণ” বিষয়টি সংক্ষিপ্ত ও যুক্তিভিত্তিকভাবে আলোচনা করা হলো—কুরআনের নিজস্ব পরিচয়, এর উৎস, গুণাবলি, মানবজাতির জন্য প্রয়োজনীয়তা ও এটি আল্লাহর বাণী হওয়ার যুক্তি।
কোরআনের পরিচয়
🔹 নাম: আল-কুরআন (القرآن)
অর্থ: বারবার পঠিত গ্রন্থ।
🔹 সংজ্ঞা:
কুরআন হলো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লা কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ ঐশী গ্রন্থ, যা তিনি মানবজাতির পথনির্দেশনার জন্য তাঁর নবী মুহাম্মদ (ﷺ)-এর উপর জিবরাইল (আ.) এর মাধ্যমে আরবি ভাষায় নাযিল করেছেন।
কোরআনের উৎস ও ইতিহাস
কোরআনের গুণাবলি
বৈশিষ্ট্য | ব্যাখ্যা |
✅ সংরক্ষিত | কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ নিজেই সংরক্ষণ করবেন (সূরা হিজর: ৯) |
✅ সর্বজনীন | সব জাতি, সব সময়, সব মানুষের জন্য প্রযোজ্য |
✅ অপরিবর্তনীয় | এক হরফও পরিবর্তন হয়নি ১৪০০+ বছরে |
✅ বিস্ময়কর সাহিত্য | সর্বোচ্চ আরবি সাহিত্যেও এর সমকক্ষ কিছু নেই |
✅ জীবনবিধান | ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার পূর্ণ দিকনির্দেশনা |
✅ বিজ্ঞানসম্মত | বহু বৈজ্ঞানিক তথ্য রয়েছে (ভ্রূণ, মহাবিশ্ব, পানি, পাহাড় ইত্যাদি) |
✅ মানবমুক্তির দলিল | ঈমান, আখলাক, শাশ্বত জ্ঞানের উৎস |
কোরআনের সত্যতা ও আল্লাহর বাণী হওয়ার প্রমাণ
১. যুক্তি ও বিবেক দিয়ে চ্যালেঞ্জ
“তারা কি কুরআন নিয়ে চিন্তা করে না? এটা যদি আল্লাহ ছাড়া আর কারও পক্ষ থেকে হতো, তবে তাতে বহু বিরোধ খুঁজে পেত।”
— সূরা নিসা (৪:৮২)
২. সাহিত্যিক চ্যালেঞ্জ
“তোমরা যদি এতে সন্দেহ করো... তবে এর অনুরূপ একটি সূরা রচনা করে দেখাও।”
— সূরা বাকারা (২:২৩)
☑ ১৪০০ বছরে কেউ পারেনি।
৩. বিজ্ঞানসম্মত তথ্য
যেমন:
৪. সম্পূর্ণ সংরক্ষিত
“আমি নিজেই কোরআন নাযিল করেছি, আর আমিই একে সংরক্ষণ করব।”
— সূরা হিজর (১৫:৯)
৫. ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হয়েছে
কোরআন কেন প্রয়োজন?
কোরআন হলো আল্লাহর কালাম, মানবজাতির জন্য দিব্যগ্রন্থ, যা তাওহীদ, রিসালাত, আখিরাত এবং নৈতিকতা ও জীবনব্যবস্থা শেখায়। এটি শুধু ধর্মীয় গ্রন্থ নয়, বরং সম্পূর্ণ জীবন ব্যবস্থার পথনির্দেশক।